পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট-সূর্যাপুর এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এদিন দুপুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, মালদা কখনো তৃণমূলকে একটিও আসন দেয় নি। প্রতিবছর নির্বাচনের সময় এখানে থেকে প্রচার করে যায় । আজ পর্যন্ত কেন আমরা জিততে পারলাম না । কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। মালদার মানুষ কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটাও দেখতে হবে। অথচ যাদের জেতাচ্ছে তাদের যজ্ঞেও লাগে না , হোমেও লাগে না। নিজেদের মধ্যে ভুল সংশোধন না করলে হাজার মিটিং করে কিছু হবে না । মালদায় দীর্ঘদিন ধরে আসছি। কোথায় যায় নি । সাবিত্রী মিত্রের এলাকায় গিয়েছি। ভুতনিতে সেতু ছিল না। সেতু বানিয়েছি। তারপরও আমরা জিততে পারলাম না মানিকচকে। মালদা নেতারা কবে ঐক্যবদ্ধ হবে। এখনো বলছি আমার সম্পদ হচ্ছে বাংলার মানুষ। এদের জন্য দলটা তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , মৌসম নূরের সভায় হাজার হাজার মানুষ হয়েছে। কিন্তু লোকসভায় ওকে জেতানো যায় নি । কেন এরকমটা হচ্ছে। আমি যে কোন সময় ১০ জন নেতার সঙ্গে বসতে পারি। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত মালদা পুনরুদ্ধার হচ্ছে । ততক্ষণ আমি কোন নেতার সঙ্গে বসবো না।
মমতা ব্যানার্জির আক্ষেপ, মুশিদাবাদের মতোন জেলাকে পুনরুদ্ধার করেছি। মালদা কেন হবে না। কি কারন বলুন তো। কোথাও কি কোন বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। কংগ্রেস ছেড়ে মৌসুম নূর বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওকে উত্তর মালদার তৃণমূলের প্রার্থী করানো হয়েছিল । যে মেয়েটা মানুষের জন্য কাজ করছিল। তাকে যেতে দেওয়া হলো না ।আর যে কাজ করে না সেই বিজেপি প্রার্থী জিতে গেল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতাদের। সভামঞ্চে নেতাদেরকে ধমক দিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বন্ধ করো। মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রে সাবিত্রী আর গৌড় মন্ডলের এত কেন ঝগড়া হয়। আমি কিছু বুঝবো না। মালদায় ভালো ফল করতে হবে। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব জেলার দলের সাত নেতার ঘরে চাপিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে পুরাতন মালদা পুরসভার দায়িত্ব প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যান বিভূতি ঘোষ এবং কার্তিক ঘোষের ঘাড়ে দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু পুরসভায় নয়, বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতাদেরকেও।